ডেস্ক রিপোর্ট:
পঞ্চগড় সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নুরুজ্জামান ওরফে নুর আলম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া বিওপির মেইন পিলার ৭৫২-এর ২ সাব পিলার সংলগ্ন মোমিনপাড়া এলাকায় বাংলাদেশি ভূখণ্ড থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ।
নুর আলমের বাড়ি জেলার বোদা উপজেলার বকশিগঞ্জ গ্রামে। সে ওই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নূর আলমসহ চোরাকারবারিদের একটি দল গরু নিয়ে ভারতীয় এলাকা থেকে ফিরছিল। সে সময় বেরুবাড়ি বিএসএফ সীমান্ত ফাঁড়ির টহল দলের সদস্যদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি ও টানা-হেঁচড়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বিএসএফ গুলি চালায়। এতে নূর গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে অন্যরা লাশ মোমিনপাড়ায় এক চা বাগানের পাশে ফেলে রাখে। সীমান্ত এলাকার লোকজন গভীর রাতে ৪-৫ রাউন্ড গুলির শব্দও শুনেছেন।
খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নুর আলমের লাশ উদ্ধার করে। সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে মোমিনপাড়া সীমান্ত এলাকার শূন্যরেখায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের বেরুবাড়ি ২১ বিএসএফ ব্যটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সি এস তমার এবং নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিমের নেতৃত্বে উভয়পক্ষের ১০-১২ জন করে সদস্য পতাকা বৈঠকে অংশ নেন।
নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক জানান, পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘একদল চোরাকারবারি বিএসএফের টহল দলের ওপর হামলা চালায়। বিএসএফ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তবে কেউ মারা গেছে কিনা তা নিশ্চিত করেনি। বিজিবির পক্ষ থেকে বৈঠকে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
Leave a Reply